‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’ : আদালতে ব্যারিস্টার সুমন

সরকার পতনের দিন শ্রমিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর কারাগারে নেওয়ার পথে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, “ভালো থাকুক বাংলাদেশ”। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম আরিফুর রহমানের আদালতে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

শুনানির সময় সুমনের হাতের হাতকড়া, মাথার হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট খুলে ফেলা হয়। এ সময় তিনি তার আইনজীবী ও উপস্থিতদের সঙ্গে কথা বলেন।

শুনানিতে সুমনের পক্ষে তার আইনজীবী জহিরুল ইসলাম আদালতকে জানান, তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ২৫ নম্বর আসামি। সেজন্য তার সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ মিনিট কথা বলার সুযোগ চান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলী ওমর ফারুক ফারুকী আপত্তি জানিয়ে বলেন, “এ আসামি এজলাসে আসার পরই আইনজীবী ছাড়াও আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন।” এরপর আদালত সুমনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় উপস্থিত কয়েকজন তাকে ‘বাটপার’ বলে ডাকেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তখন ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “ভালো থাকুক বাংলাদেশ।”

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন শ্রমিক মো. রিয়াজ (৩৫)। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত রিয়াজের স্ত্রী ফারজানা বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ব্যারিস্টার সুমন এ মামলার অন্যতম আসামি।

এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের ধারাবাহিকতায় ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন এবং কয়েক দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

ব্যারিস্টার সুমন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী, তৎকালীন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ইস্যুতে সরব থাকার কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে সাধারণ মানুষও তাকে ব্যাপকভাবে চিনত।