যে তিন কারণে ভূমিকম্প হয়
ভূমিকম্প কী?
ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের আকস্মিক কম্পন। ভূ-অভ্যন্তরে এক শিলা স্তর অন্য শিলা স্তরের ওপর সরে গেলে বা অবস্থান পরিবর্তন করলে এই কম্পন সৃষ্টি হয়। পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো অংশের হঠাৎ আন্দোলনই ভূমিকম্প নামে পরিচিত।
ভূমিকম্প কেন হয়?
ভূমিকম্প হওয়ার প্রধান তিনটি কারণ রয়েছে—
১. ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন
পৃথিবীর স্তরগুলো সময় সময় স্থানচ্যুত হয়। এই স্থানচ্যুতি বা চাপের পরিবর্তনে ভূমিকম্প ঘটে।
২. আগ্নেয়গিরির ক্রিয়া
ভূ-অভ্যন্তরের গ্যাস ও ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির মুখ বা ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল দিয়ে বেরিয়ে এলে সেই স্থানে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। উপরের স্তরের চাপ সেই ফাঁকা স্থানে বসে ভারসাম্য রক্ষা করতে গেলে প্রবল কম্পন সৃষ্টি হয়।
৩. শিলাচ্যুতি (Fault movement)
শিলা স্তরগুলোর ভাঙন বা হঠাৎ সরে যাওয়া ভূমিকম্পের অন্যতম প্রধান কারণ।
ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব
সাধারণত ভূমিকম্প কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়, তবে এই স্বল্প সময়েই বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি ঘটতে পারে।
ভূমিকম্পের মাত্রা (Magnitude)
ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করা হয় রিখটার স্কেল দিয়ে, যার একক ১ থেকে ১০ পর্যন্ত।
| রিখটার মাত্রা | ধরন |
|---|---|
| ৫.০ – ৫.৯৯ | মাঝারি |
| ৬.০ – ৬.৯৯ | তীব্র |
| ৭.০ – ৭.৯৯ | ভয়াবহ |
| ৮.০ এর ওপরে | অত্যন্ত ভয়াবহ |
মাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব
রিখটার স্কেলে প্রতি ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি মানে ভূকম্পনের শক্তি ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। মাত্রা ৫-এর বেশি হলে সাধারণত বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা থাকে।



























