শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বক্তব্যটি আইওয়াশ : মঞ্জুরুল আলম পান্না
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্যটি আইওয়াশ বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম (পান্না)।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বক্তব্যটি আইওয়াশ বা যারা জুলাইযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের দাবি করেন অথবা গণ-অভ্যুত্থানের যে শক্তিগুলো রয়েছে, তাদের সামনে নিজেদের মুখ রক্ষার বিষয়ে যে সরকার কতটা তৎপর, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য। ভারত শেখ হাসিনাকে দেবে না এটা নিশ্চিত। সেই জায়গা থেকে এই কথাগুলো বলা।
এ ছাড়া নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এসব কথাবার্তা।
তিনি বলেন, ‘ভারতে এই মুহূর্তে অবস্থানরত বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ড. খলিল যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, নিঃসেন্দেহে অজিত দোহাল এই উপমহাদেশে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যেহেতু ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন, বিষয়টি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদিও কী কথা বলেছেন, সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু আসেনি। এখন এটা মনে করার কোনো কারণ নেই বাংলাদেশের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে ভূরাজনৈতিক বা আঞ্চলিক নিরাত্তা-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে কথা হয়েছে। ভারতের কোনো কোনো গণমাধ্যম এমন ইঙ্গত দেওয়ার চেষ্টা করছে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক যে তলানিতে পৌঁছেছে বা যে বরফ জমাট বেঁধেছে, তা গলতে শুরু করেছে।
কী সেই ইঙ্গিত? স্পষ্ট করে কোথাও থেকে জানা যায়নি তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে।’
এই সাংবাদিক বলেন, ‘দিল্লিস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার একটি বিবৃতি দিয়েছেন, সেই বিবৃতিতে খুব স্বাভাবিকভাবে যে কথাবার্তা বলা হয়েছে, সেগুলোই ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত কী এমন প্রস্তাব করল বা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ড. খলিলুর এমন কী প্রস্তাব করল, যা ভারত মেনে নিয়েছে বা ভারতের প্রস্তাব বাংলাদেশ মেনে নিয়েছে? আমরা যেটুকু জানতে পেরেছি বা ধারণা করা যেতে পারে, যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে, বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। অজিত দোভালের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবটি ড. খলিলুর রহমানের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে, সে বিষয়ে একটি ইঙ্গিত আরো স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পরপর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দেয়, সেখানে।



























