সরকারি জমি দলিল করে বিক্রি
সাভারের নামাবাজারের ঐতিহ্যবাহী মাছ বাজারকে ঘিরে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সরকারি (ক) তালিকাভুক্ত ভিপি সম্পত্তি মাত্র ৫ হাজার ১৭৫ টাকায় লিজ নিয়ে তা জেলেদের কাছে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে স্ট্যাম্পে ‘হস্তান্তর' করার অভিযোগ উঠেছে লিজগ্রহীতা আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পুরো সাভার বাজারে চলছে তীব্র সমালোচনা।
জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সাভার নামাবাজারের হাজী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আতিকুর রহমান সরকারি ভিপি সম্পত্তিটি অতি কম মূল্যে লিজ নেন এবং নিজের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।
কিন্তু এরপরই অবৈধভাবে ওই জমি জেলেদের কাছে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৮ লাখ টাকায় হস্তান্তর (বিক্রি) করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন দ্রুত আতিকুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আতিকুর ১৯ নভেম্বর নোটিশের জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক নয় বলে জানান এসি ল্যান্ড। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্তে একজন সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, “চক্রটি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। তদন্তের নামে লিজধারীদের বহাল রাখে। আমরা গরিব মানুষ, দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না।” তাদের দাবি, এ কাজে ভূমি অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত। নামাবাজারের এই মাছ বাজারের পরিমাণ সাভার মৌজার ১.৮৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে এসি ল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, “লিজকৃত সরকারি সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে লিজ বাতিল করা হবে।”
মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের পর অবশেষে পাওয়া গেলে আতিকুর রহমান বলেন, “আমি কোনো জমি বিক্রি করিনি। মাছ বিক্রেতাদেরকে কিছু জমি দান করেছি।”
স্ট্যাম্পে হস্তান্তরের প্রশ্নে প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরে দাবি করেন, “এটি বিক্রি নয়, মানবিকতার জায়গা থেকে স্ট্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে।”



























