ভূমিকম্পে তিন জেলায় নিহত বেড়ে ৬
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশের তিন জেলায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৭ এবং কেন্দ্রস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়।
ঢাকা
রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে একটি পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কারও পরিচয় জানা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নে ভূমিকম্পের ধাক্কায় একটি পুরোনো দেয়াল ধসে মা–মেয়ে চাপা পড়েন। ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়, আর আহত মেয়েকে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করেন। রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
একই উপজেলার গোলাকান্দাইল ইসলামবাগ এলাকায় একটি টিনশেড বাড়ির দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুটির মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হন বলে জানিয়েছেন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান।
নরসিংদী
নরসিংদী সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় বাড়ির সানসেট ধসে ওমর (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়। তার বাবা দেলোয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। ওমরের দুই বোন নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওমরের চাচা জানান, ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর দেলোয়ার হোসেন সন্তানদের নিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই সানসেটটি ভেঙে পড়ে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক
ভূমিকম্পের পর রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি ছয়তলা ভবন হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিন বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা এবং পাকিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলেও কম্পন রেকর্ড করা হয়।



























