গুরুতর অসুস্থ ড. আবুল বারকাতের মুক্তির দাবি বিশিষ্ট নাগরিকদের

অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে গুরুতর অসুস্থতার কারণে মানবিক বিবেচনায় অবিলম্বে জামিনে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ১২২ নাগরিক।
রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্নীতির একটি মামলায় অধ্যাপক বারকাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ তিনি প্রায় চার দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৭২ বছর বয়সী বারকাত দীর্ঘদিন ধরে হার্টের জটিলতা, স্ট্রোক-পরবর্তী সমস্যা, ফুসফুসের অসুস্থতা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবনের পাশাপাশি সপ্তাহে পাঁচ দিন ফিজিওথেরাপি নেন। অতীতে দু’বার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
নাগরিকরা বলেন, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে জামিনে মুক্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে সই করেছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবীর, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের ভিজিটিং প্রফেসর স্বপন আদনান, অধ্যাপক মোনাওয়ার উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ফেরদৌস হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খীসা, নারী অধিকার কর্মী শিরিন হক, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক সেলিম রায়হান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মনীন্দ্র কুমার নাথ, অধ্যাপক সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ, সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমানসহ আরও অনেকে।
এছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন— বেলার প্রধান নির্বাহী তসলিমা ইসলাম, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, মানবাধিকার কর্মী সাঈদ আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, চলচ্চিত্র নির্মাতা এফ এম শাহীন প্রমুখ।