সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দিতে বলেছি : আইন উপদেষ্টা

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে যত আলোচনা হয়েছে, আমরা বলেছি—সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দিতে। এবার গিয়েও বলেছি, সবাইকে সুযোগ দিতে। মনোপলি হলে শ্রমিকরা প্রতারিত হয়, খরচ বেড়ে যায়, অনেক ধরনের দুর্নীতি হয়।
বুধবার (২০ আগস্ট) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক বছরে অগ্রগতি নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুল বলেন, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নেপালের রিক্রুটিং এজেন্সি কয়েকশ’, আমাদের কয়েক হাজার। এ প্রসঙ্গ যখন তোলা হয় তখন আমি ওই দেশগুলোর সমান দিতে বলি। পাকিস্তানকে ৪০০ দিলে আমাদেরও ৪০০ দেওয়ার কথা বলেছি। এই বছর শুনেছি যে মালয়েশিয়া ৩০ হাজার শ্রমিক নেবে, আমরা বলেছি বোয়েসেলকে দিতে। আমরা আমাদের মতো সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আপনাদের মনে রাখতে হবে, মালয়েশিয়া একটি সার্বভৌম দেশ। আমরা তাদের জোর করতে পারি না।
মালয়েশিয়ায় আলোচিত-সমালোচিত প্রতিষ্ঠান বেস্টিনেটের সত্ত্বাধিকারী আমিন নূর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, উনি মালয়েশিয়ার নাগরিক। মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে উনি অনেক বছর ধরে কাজ করেন। যেহেতু সরকারের সঙ্গে অনেক বছর ধরে কাজ করেন, সরকারের ব্যবস্থাপনা এফডব্লিউসিএমএস ওনার অধীনে। আমাদের চেয়ে আগে খবর ওনার জানার কথা। তিনি সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করছেন। আমরা যে খবর নিই, সেটা হচ্ছে ক্রেডিবল সোর্সের দিকে খেয়াল রাখি।
তিনি বলেন, আমাদের মালয়েশিয়ায় একটা দূতাবাস আছে, তারা খুবই তৎপর। আমরা খুবই সতর্ক আছি, যাতে কোনও সিন্ডিকেট বা দুর্নীতি চক্রের মধ্যে আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা না পড়েন। ওনার সঙ্গে আলোচনা করা বা উনি তো আলোচনার বিষয় না। মালয়েশিয়ার সঙ্গে যখন কথা হয়েছে, আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে বলছি, প্রথমবার আলোচনায় বলেছি, আমাদের সব এজেন্সিকে কাজ দেওয়ার জন্য। তারা বলেছে, আমাদের কয়েক হাজার এজেন্সি, তাদের কয়েকশ।
উপদেষ্টা বলেন, আমি বলেছি, তাহলে সবার ক্ষেত্রে একরকম করতে। সব দেশকে ৩০০ কিংবা ৫০০ এজেন্সি অনুমোদন দিতে। তারপর বলেছি, যদি ৩০ হাজার কর্মী নেয় তাহলে অল্প কর্মী, বোয়েসেলকে দিতে। এখন আমি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি, আমি তো কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করিনি। আর ব্যক্তির বিষয়ে কোনও কথা বলাও ঠিক হবে না।
মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ৭ হাজার ৯০০ কর্মীকে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। মালয়েশিয়া বোয়েসেলের মাধ্যমে নিতে রাজি হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে শ্রমবাজার সংক্রান্ত একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ চুক্তি কবে নাগাদ হবে, জানতে চাইলে আসিফ নজরুল জানান, চুক্তির খসড়া তৈরি হয়েছে ইতোমধ্যে। খসড়া সৌদি আরবের সঙ্গে ফাইনাল করা হয়েছে। এখন শুধু চুক্তিতে স্বাক্ষর বাকি। আমার কাছে সৌদি আরও জানতে চেয়েছে, সেপ্টেম্বরে আমি ফ্রি আছি নাকি, স্বাক্ষর করার জন্য সৌদি আরব যেতে পারব কি না।