মেসির হ্যাটট্রিকে মায়ামির দুর্দান্ত জয়

মাঠে নামলেই যেন সময় থমকে যায়—লিওনেল মেসির নাম উচ্চারিত হলেই ফুটবলপাগল দুনিয়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। বয়স কেবল সংখ্যায়, পায়ে এখনো আগের মতোই জাদু। শনিবার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আবারও সেই মন্ত্রমুগ্ধ করা ছোঁয়া দেখালেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে একাই তিন গোল করে ইন্টার মায়ামিকে ৫-২ ব্যবধানে জেতালেন, আর প্রায় নিশ্চিত করলেন মৌসুমের গোল্ডেন বুট পুরস্কার।

লিগের শেষ দিনের ম্যাচের আগে মেসির গোল ছিল ২৬টি, যা লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির দেনিস বুয়াঙ্গার চেয়ে দুই বেশি। ন্যাশভিলের বিপক্ষে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে তার গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯-এ। ফলে হাতে নিয়েই ফেললেন প্রথম এমএলএস গোল্ডেন বুট, আর একই সঙ্গে জোরালো করলেন ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ (এমভিপি) পুরস্কারের দাবিও।

এই জয়ের মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে ইন্টার মায়ামি। আগামী ২৪ অক্টোবর প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডে আবারও মুখোমুখি হবে ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে।

ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, “লিওকে নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। আজও সে ছিল অসাধারণ। নিশ্চয়ই সে এমভিপি জিতবে, কারণ পুরো মৌসুমজুড়ে সে দারুণ পারফর্ম করেছে। ওর জন্য আমি খুব খুশি—আবারও সে দলকে জেতাল।”

ম্যাচের শুরুতে কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে ন্যাশভিল। এরপর ৩৪তম মিনিটে জর্দি আলবার পাস পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের চমৎকার শটে গোল করেন মেসি। নয় মিনিট পর হ্যানি মুখতারের ক্রসে হেড করে সমতা ফেরান স্যাম সারিজ। ইনজুরি সময়ে জেকব শ্যাফেলবার্গ গোল করে ন্যাশভিলকে এগিয়ে দেন ২-১ ব্যবধানে।

দ্বিতীয়ার্ধে ফেরেন মেসিরা। ৬৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান মেসি। এরপর ৬৭তম মিনিটে বালতাসার রদ্রিগেজ গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে দেন। আর ৮১তম মিনিটে জটলার মধ্য দিয়ে বাঁ-পায়ের ঘূর্ণিতে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মেসি। ইনজুরি সময়ে তেলাস্কো সেগোভিয়ার গোলে জয় আরও বড় হয় (৫-২)।

মাসচেরানো যোগ করেন, “প্রথমার্ধে আমরা কিছুটা ধীর ছিলাম, তীব্রতা ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে—প্রতিপক্ষের অর্ধে খেলেছে, ঝুঁকি নিয়েছে, আর শেষটা করেছে অসাধারণভাবে।”