থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত নিরসনে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের সমাধানে নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতি আগামী সোমবার বা মঙ্গলবারের মধ্যে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুবিও বলেন, “সব পক্ষকে চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে আনতে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, আগামী সপ্তাহের শুরুতে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোট আসিয়ান-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা সোমবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এক বৈঠকে বসবেন। সেখানে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংকট নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হবে।
রুবিও আরও জানান, তিনি বৃহস্পতিবার টেলিফোনে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকেওয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সপ্তাহান্তে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।
চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছিলেন। রুবিও বলেন, “উভয় পক্ষ লিখিতভাবে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং স্বাক্ষরও করেছিল, কিন্তু বর্তমানে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে সেই প্রতিশ্রুতিগুলো মানা হচ্ছে না। এখন আমাদের কাজ হলো দুই পক্ষকে আবার আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।”
সংঘাতের মূল কারণ হলো দুই দেশের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা কয়েকটি প্রাচীন মন্দিরের মালিকানা নিয়ে বিরোধ। চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সহিংসতার কারণে দুই দেশে মিলিয়ে আট লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।



























