বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতকে শিক্ষা দেওয়ার আত্মতুষ্টি পাচ্ছে পাকিস্তান

ভারতকে শিক্ষা দেওয়ার আত্মতুষ্টি পাচ্ছে পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের এপ্রিল–মে মাসে সংঘটিত স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিনের বৈরী এই দুই প্রতিবেশী দেশের নেতৃবৃন্দ ও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক বক্তব্যে সেই উত্তেজনা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

যুদ্ধের ছয় মাস পার হলেও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং সেই সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে ফের কড়া ভাষায় ভারতকে আক্রমণ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) খাইবার পাখতুনখাওয়ার হারিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এপ্রিল–মে মাসের সংঘাতে মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েছে পাকিস্তান। তার ভাষায়, “পাকিস্তান-ভারত সংঘাতে আমরা মোদি সরকারকে এমন এক শিক্ষা দিয়েছি, যা তারা কোনোদিন ভুলতে পারবে না।”

শাহবাজ শরিফ দাবি করেন, ‘মার্কা-ই-হক’ বা ‘সত্যের যুদ্ধে’ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী জাতির দোয়া ও অটল সমর্থনের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছে। তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে মুম্বাই— পুরো ভারতই এই পরাজয়ের স্মৃতি কখনো ভুলতে পারবে না।”

এ সময় তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়াকে সাহসী, দৃঢ়চেতা ও বীরদের ভূমি হিসেবে উল্লেখ করেন। সেখানকার জনগণের ত্যাগ ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের আত্মত্যাগের কারণেই দেশে শান্তি ফিরে এসেছে।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শাহবাজ শরিফ বলেন, কোনো ‘জাদুবিদ্যা’ নয়, বরং কঠোর পরিশ্রম ও বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তিনি জানান, দেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার পথে এগোচ্ছে এবং এখন এই অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করা প্রয়োজন।

জাতীয় উন্নয়নের জন্য ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, চারটি প্রদেশই যখন সমানভাবে উন্নয়নের পথে এগোবে, তখনই পাকিস্তান প্রকৃত অর্থে এগিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এর পরদিন, ২৩ এপ্রিল ভারত একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ৬৫ বছরের পুরোনো সিন্ধু পানি চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, ওয়াঘা–আটারি সীমান্ত বন্ধ, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশন বন্ধের নির্দেশ এবং উভয় দেশের দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্য।

জনপ্রিয়