লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের পথে তারেক রহমান

দেশে দীর্ঘ ১৭ বছরের পর ফিরে আসতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় আজ রাত সোয়া ১২টায় তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে আসবেন। তার সঙ্গে রয়েছেন সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দেশে পৌঁছানোর পর প্রথম তিন দিন তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ তারেক রহমানের তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে স্বাগত জানাবেন। এরপর তিনি জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে বা ৩০০ ফিট রাস্তায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। সেখানে অপেক্ষমান নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তিনি। এরপর বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলীর মোড় হয়ে গুলশান–২ নম্বরে বাসভবনে চলে আসবেন। প্রথম দিন আর কোনো কর্মসূচি থাকবে না।

পরবর্তী দিন, ২৬ ডিসেম্বর, জুমার নামাজের পর বাসভবন থেকে তিনি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

২৭ ডিসেম্বর, শনিবারও তার দুটি কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিন তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করবেন। এজন্য তার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন অফিসে উপস্থিত হবেন কি না, তা পরে জানানো হবে। সেই দিনই তিনি ভোটার হওয়ার সব কার্যক্রম শেষ করবেন। এরপর শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন।

শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের পর শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখা করবেন। এরপর আরও একটি অনুষ্ঠান থাকলেও তার বিস্তারিত পরে জানানো হবে।