শুক্রবার ০৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সপ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ৭ আগস্ট ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের আশা উপেক্ষিত: জামায়াত সেক্রেটারি

জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের আশা উপেক্ষিত: জামায়াত সেক্রেটারি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর অবদানকে উপেক্ষা করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, এতে জামায়াতসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রস্তাবনাগুলোকেও আমলে নেওয়া হয়নি।

 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “ঘোষণাপত্র তৈরির সময় যদি দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে কতটা প্রত্যাশা করা যায়?”

গোলাম পরওয়ার জানান, গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক পাঠ করা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে জাতির মধ্যে একধরনের প্রত্যাশা তৈরি হলেও তা প্রকাশের পর অনেকের কাছেই "অসম্পূর্ণ একটি বিবৃতি" হিসেবে মনে হয়েছে।

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “ঘোষণাপত্রে জাতীয় ঐকমত্যের প্রতিফলন থাকা উচিত ছিল। কিন্তু সেখানে কিছু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে, অন্য অনেক মত ও অবস্থান উপেক্ষিত হয়েছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে, ঘোষণাপত্র প্রণয়নে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাব ছিল কি না।”

তিনি দাবি করেন, জুলাই ঘোষণাপত্র এখনো পূর্ণাঙ্গ দলিলে রূপ নেয়নি। তার মতে, একটি “জুলাই সনদ” এবং একটি “জুলাই চার্টার” তৈরি করা প্রয়োজন, যা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচন সেই নীতির উপর ভিত্তি করেই অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ঘোষণাপত্র সংশোধন করতে হবে। আলেম হত্যা, শাপলা চত্বরের ইতিহাসসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এতে উপেক্ষিত। কোনো একক দলের পছন্দ অনুযায়ী দলিল তৈরি করলে তা গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। আপনি যেন নিরপেক্ষ থাকেন এবং আপনার কোনো পক্ষপাতমূলক অবস্থান যেন জাতির স্বপ্ন বিনষ্ট না করে, তা বিবেচনায় রাখতে হবে।”

নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা সম্পর্কে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় ঘোষণা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বরং আমরা এটিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।”

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ