বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে পর্দা নামলো প্যাডেল স্ল্যাম ২.০’র
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে সফলভাবে পর্দা নামলো ‘আহসান গ্রুপ প্রেজেন্টস প্যাডেল স্ল্যাম ২.০, পাওয়ার্ড বাই অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস’ টুর্নামেন্টের। শনিবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচগুলোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী এই জমকালো প্রতিযোগিতা। ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করতে প্রতিযোগীদের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ ও বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মেন্স অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরির ফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ৬-৪, ২-৬ ও ৬-২ সেটে চ্যাম্পিয়ন হন জিউসেপে ও ম্যাশ জুটি। রানারআপ হন রাকিন ও সাদমান।
মেন্স ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে ৭-৫, ৬-৩ সেটে শিরোপা জয় করেন তাইসির ও পলক। এই বিভাগে রানারআপ হন ফারহান ও নাবিল। উইমেন্স ডাবলসে ৬-০, ৬-১ সেটে একপেশে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হন ব্রিয়ানা ও ফারিহা। রানারআপ হন নাভেরা ও তাশফিয়া।
খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির হেড অফ অপারেশনস মাসুদুর রহমান মান্না। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টসের ডিরেক্টর নাভেরা খান এবং আহসান গ্রুপের প্রতিনিধির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, ক্রীড়া আয়োজন সফল করতে স্পন্সরদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের সহযোগিতা ছাড়া এমন বড় পরিসরের টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব নয়। এরপর পর্যায়ক্রমে উইমেন্স, মেন্স ইন্টারমিডিয়েট ও মেন্স অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরির রানারআপ ও চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর হাতে ট্রফি, মেডেল ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্যাডেল ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ আকর্ষণ হিসেবে এবারের আসরে মোট প্রাইজপুল রাখা হয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনটি ক্যাটাগরিতেই চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে এবং রানার্সআপ দল পেয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আকর্ষণীয় এই প্রাইজমানির কারণে প্রতিযোগিতার উত্তেজনার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া ফাইনালে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের জন্য আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়। শেয়ারট্রিপের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা বিমান টিকিট, লোটোর তরফ থেকে পাঁচ হাজার টাকার গিফট ভাউচার এবং গোল্ডস জিমের পক্ষ থেকে মেম্বারশিপ কার্ড।
এবারের আসরে স্পন্সর হিসেবে ছিল আহসান গ্রুপ, অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস, দৌড়, ব্রুভানা, শেয়ারট্রিপ, লোটো, এম.এইচ.সি, গোল্ডস জিম ও জুলকানসহ আরও কয়েকটি পরিচিত ব্র্যান্ড। আসরের ব্রডকাস্ট পার্টনার হিসেবে ছিল দেশের একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি-স্পোর্টস।
আসরের খেলাগুলো টি স্পোর্টস চ্যানেল ও তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্প্রচার করেছে। যা মাঠের বাইরেও প্যাডেলপ্রেমীদের মাঝে এই খেলার পরিচিতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আয়োজকদের আশা, এ ধরনের আয়োজন প্যাডেলকে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যোগ করবে নতুন মাত্রা।
প্যাডেল স্ল্যামের এটি দ্বিতীয় আসর। আমেরিকা ও ইউরোপে জনপ্রিয় র্যাকেটভিত্তিক এই খেলাটি টেনিসের মতো দেখতে হলেও নিয়ম ও কৌশলে ভিন্ন। তুলনামূলক ছোট, ঘেরা কোর্টে ডাবলসে খেলা হয় প্যাডেল।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্যাডেল খেলাটির ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং এর পেছনে বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়মিত আয়োজন ও অবকাঠামোগত সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ধারাবাহিক আয়োজনের ফলে নতুন প্রজন্মের ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে এই খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।



























