সাবেক বর্তমানদের মিলনমেলায় প্রাণ ফিরে পেল রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগ
"আয়, আর একটিবার আয় রে সখা প্রাণের মাঝে আয়, মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়" এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের ১ম পুনর্মিলনী-২০২৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। দীর্ঘদিন পর বাংলা বিভাগের এমন আয়োজন ঘিরে বিভাগে ফিরে এসেছে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও নবীনদের মধ্যে প্রাণবন্ত আড্ডার সংমিশ্রণ। মিলনমেলার রঙিন আয়োজন যেন নতুন করে প্রাণ ফিরিয়েছে বাংলা বিভাগে।
শনিবার ( ২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মিলনমেলার সূচনা হয়। মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো: ইব্রাহিম আলী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. মো: সেরাজ উদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শিখা সরকার, সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন বর্ষের প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য পর্বে আয়োজক কমিটির সদস্য ও উপদেষ্টামণ্ডলী স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পর বিভিন্ন বর্ষের প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন পর বাংলা বিভাগের এই ১ম পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজন ঘিরে আমরা যারা আয়োজক কমিটিতে রয়েছি আমরা ভিন্ন ভাবে আমাদের এই আয়োজনটি সফলভাবে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি আমরা সকলের মাঝে আনন্দ ভাগাভাগির মাধ্যমে দিনটিকে রঙিন করে তুলেছি।
বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আশিক আলী জানান, আজকের দিনটি আমাদের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অর্থ বহন করে। আজকের এই দিনে সাবেক ও বর্তমান সকলে শিক্ষার্থী একসাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে যেটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে পরিবারের সাথে আসা ২০০৫-২০০৬ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদ কবির বলেন, দীর্ঘদিন পর তাদের ব্যাচের বন্ধুরা এবং তার ছোট মেয়েকে নিয়ে তিনি প্রিয় ক্যাম্পাসে একসাথে হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আজকের দিনটি তার কাছে অতীতের ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো। সকাল থেকে দিনব্যাপী সবাই মিলে অনেক আনন্দ ও আড্ডার মাধ্যমে উপভোগ করেছেন।
আব্দুল মমিন নামে ২০২০-২১ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী জানান, বর্তমানে তিনি ঢাকায় থাকেন। দীর্ঘদিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে সবাইকে একসাথে পেয়ে তিনি অনেক আনন্দিত। অনেকদিন পর ক্যাম্পাস বন্ধুদের সাথে জড়িয়ে থাকা বিভিন্ন স্মৃতি আজকের আয়োজনের মাধ্যমে আবারও ফিরে পেয়েছেন। তিনি মনে করেন, প্রতি এমন আয়োজন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
মিলনমেলায় ছিল শোভাযাত্রা, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, স্বাগত বক্তব্য, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা স্মারক প্রদান, আতশবাজি সহ জমকালো সাংস্কৃতিক আয়োজন। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর আয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ফিরে যান তাদের হারানো দিনগুলোতে।



























