রাকসু জিএস’র আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বেঁধে রাখার হুমকি, নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষকের শঙ্কা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে কলার ধরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন রাকসু'র জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার। নিরাপত্তা শংকায় ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতার কথাও বলেছেন আওয়ামীপন্থী এক শিক্ষক।
তবে, রাকসু, ছাত্রশিবির ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আওয়ামী লীগপন্থী ছয় ডিন দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আজ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করা আওয়ামী লীগ পন্থী সেই শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান।
এক ফেসবুক পোস্টে কাজী জাহিদুর রহমান বলেছেন, নিজের নিরাপত্তার অভাবে আমি ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল ধরণের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করা সম্ভব হবেনা বলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছিলাম। আমার স্ট্যাটাসের পরে সারাদেশের অসংখ্য মানুষ প্রতিবাদ করেছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, ছাত্রদল, ছাত্রলীগসহ অনেক সংগঠন ক্যাম্পাসে মবক্রেসির বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে, নিজেদের অবস্থানের জানান দিয়েছে। শিক্ষদেরকে অসম্মান করে যে সকল অশ্রাব্য কথা বলা হয়েছে, আজ সারা বাংলাদেশের মানুষ তার নিন্দে করছে। এটাই আমার সফলতা। শিক্ষার্থী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আজ থেকে একডেমিক কাজে যোগদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক মামুনুর রশিদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা সার্বিকভাবে নিরাপত্তার কথা বলেছি৷ শিক্ষকরা যাতে ক্লাস পরীক্ষা নিতে ভয় না পায়৷ যারা দোষী তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের বিষয়েও আমরা জানিয়েছি৷ এখন অনেক শিক্ষক আতঙ্কের ভেতর আছে, যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে শিক্ষকদের প্রতি তাতে সম্মানহানি হয়েছে শিক্ষকদের৷ এখান থেকে শিক্ষদের মধ্যে যে ক্ষোভ হচ্ছে সেখান থেকেও অনেক কিছু হতে পারে, শোনা যাচ্ছে তারা ভর্তি পরীক্ষা নিবে না৷'
তিনি আরও বলেন, জুলাই আগস্টের পরে যে বৈষম্যমূলক নিয়োগ হয়েছে মেডিকেলসহ অন্যান্য জায়গায় যাচাইবাছাই ছাড়া এবং এখনাে কিছু প্রক্রিয়াধীন আছে সেগুলো থেকে প্রশাসন যদি বিরত থাকে তাহলে ভালাে হবে৷ এখন কোনাে কিছু হলেই যে মব হচ্ছে সেটা যাতে না সে বিষয়েও প্রশাসনের সাথ আমাদের কথা হয়েছে৷
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান সংবাদ পরিক্রমাকে বলেন, আমরা এই বিষয়ে অবগত আছি এবং আমরা রাকসুর সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলেছি যাতে কোনাে শিক্ষকের সম্মানক্ষুণ্ন না হয় বা তারা যেন নিরাপত্তাহীনতায় না ভােগে৷



























