দলীয় বিভক্তি ঠেকাতে সরে দাঁড়াচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলে বিভক্তি এড়াতেই তিনি এ পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সরকার জানিয়েছে, ইশিবা স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বর ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইশিবার জোট সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির ক্ষোভই ভোটারদের বিরূপ মনোভাবের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এছাড়া গত জুলাইয়ে উচ্চকক্ষ নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই ইশিবার পদত্যাগের দাবি ওঠে দলের ভেতর থেকে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে গত সপ্তাহে ইয়েন ও জাপানি সরকারি বন্ডের বাজারে বড় ধস নামে। ৩০ বছরের বন্ডের ফলন পৌঁছে যায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) গত সোমবার নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য বিশেষ ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ইশিবার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও বেড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন তুলনামূলক শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতির পক্ষে থাকা সানায়ে তাকাইচি। তিনি ব্যাংক অব জাপানের সুদ বৃদ্ধির পদক্ষেপের সমালোচক হিসেবেও পরিচিত। এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে তাকাইচিকে অল্প ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন ইশিবা।
যদি ইশিবা সত্যিই পদত্যাগ করেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর শেষ কাজ হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গত সপ্তাহে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করা। এই চুক্তির আওতায় জাপান ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বিনিময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানের গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি শিল্পে শুল্ক কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।