শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, কারফিউ জারি

নেপালে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, কারফিউ জারি
ছবি: সংগৃহীত

নেপালের আইনশৃঙ্খলার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিধিনিষেধমূলক নির্দেশ জারি করা হয়। এরপর সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিক্ষোভের আড়ালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়, এ সময়ে যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ অথবা ব্যক্তি ও সম্পত্তির ওপর হামলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্ষণের হুমকি ও নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর হামলার ব্যাপারেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ বিধিনিষেধের বাইরে থাকবেন।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলে নেপালে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পার্লামেন্ট ভবন, আদালত, মন্ত্রীদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

এর আগে সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। এর পরদিন সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নামেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেনাপ্রধান কেপি শর্মা ওলিকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।

বিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল কয়েক দশকের দুর্নীতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে। পরে ফেসবুক, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের ঘটনায় আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। শুরুতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হলেও গুলিতে প্রাণহানির পর তা সহিংসতায় রূপ নেয়।

বুধবার সকাল থেকেই সেনারা রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে অবস্থান নিয়ে কড়া নিয়মকানুন কার্যকর শুরু করেন। এতে ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হননি, ফলে সর্বত্র অস্বাভাবিক নীরবতা নেমে আসে।

যেসব সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ হয়েছিল, বুধবার সকাল থেকে সেখানে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। এর আগে মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে রেখেছিল বিক্ষোভকারীরা।

সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত বিষয়: