বুধবার ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫০, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

টিউলিপের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য রায় নিয়ে যা বললেন ব্রিটিশ আইনজীবীরা

টিউলিপের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য রায় নিয়ে যা বললেন ব্রিটিশ আইনজীবীরা
ছবি: সংগৃহীত

প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকি, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের রায় ঘোষণা আগামী ১ ডিসেম্বর নির্ধারিত হয়েছে।

এই মামলাকে ‘পরিকল্পিত ও অন্যায্য’ বলে মন্তব্য করেছেন কয়েকজন ব্রিটিশ আইনজীবী। তাদের মধ্যে দেশটির সাবেক বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড কেসি-ও রয়েছেন। তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম-এর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে টিউলিপ সিদ্দিকিকে সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।

এই আইনজীবীরা বলেছেন, টিউলিপ যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন এবং তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি কোনো পলাতক আসামি নন। তিনি যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত এমপি। তবে তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে যদি শক্তিশালী অভিযোগ থাকে।

হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের এমপি টিউলিপ খুনি শেখ হাসিনার ভাগনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ করার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর গত সপ্তাহে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে চিঠিতে বরিস জনসন সরকারের সাবেক বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড কেসি, সাবেক টরি অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভি, চেরি ব্লেয়ার কেসি, ফিলিপ সেন্ড কেসি এবং জিওফরে রবার্টসন কেসি বলেছেন, টিউলিপ তার মামলা লড়ার ক্ষেত্রে সাধারণ অধিকার ভোগ করতে পারেননি। তারা অভিযোগ করেছেন টিউলিপকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে জানানো হয়নি এবং তার জন্য কোনো আইনি প্রতিনিধিকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি।

তারা আরও অভিযোগ করেছেন—টিউলিপ যাকে তার আইনি প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে এবং তার মেয়ে হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, হাসিনাকে দিয়ে নিজের মায়ের জন্য পূর্বাচলে প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন টিউলিপ। তার বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত বছরের আগস্টে খুনি শেখ হাসিনার পতনের পর টিউলিপ, তার মা, ভাই, বোনসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়।

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর টিউলিপ মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন। তিনি দাবি করেন, তার সরকারের মনোযোগ বিঘ্ন হচ্ছে বিধায় তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সর্বশেষ

জনপ্রিয়