বার্সেলোনা বিপক্ষে চেলসির দাপুটে জয়
চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে উপস্থিত দর্শকরা একদিকে দেখেছে চাপহীন, স্বচ্ছন্দ চেলসিকে; অন্যদিকে অসহায়, দিশেহারা বার্সেলোনাকে।
প্রথমার্ধেই আত্মঘাতী গোল ও লাল কার্ডে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কাতালানরা, আর সেই ধস দ্বিতীয়ার্ধেও থামেনি। পুরো ম্যাচ জুড়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ৩-০ গোলের স্বচ্ছ জয় তুলে নেয় ইংলিশ জায়ান্টরা।
শুরু থেকেই চেলসি আক্রমণে আগ্রাসী ছিল। যদিও প্রযুক্তিগত সিদ্ধান্তে তাদের তিনটি গোল বাতিল করা হয় দুটি অফসাইড ও একবার হ্যান্ডবলের কারণে, তবুও বল দখল ও আক্রমণচক্রে তারা ছিল সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার বিরল সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। ষষ্ঠ মিনিটে ইয়ামালের তৈরি করা নিখুঁত সুযোগটি পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে ফেরান তোরেস অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে শট মারলে সেখানেই যেন ম্যাচের গতি বদলে যায়।
২৭তম মিনিটে আসে ম্যাচের প্রথম গোল। ডানদিক থেকে কুকুরেয়ার নিচু পাস ঠেকানোর চেষ্টা করেন কুন্দে, কিন্তু তার পায়ে লেগে বল ঢুকে যায় নিজেদের জালে আত্মঘাতী সেই গোলেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। এরপর বিরতির ঠিক আগে আরেক দুঃসংবাদ। কুকুরেয়াকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন রোনাল্ড আরাউহো। ফলে ১০ জন নিয়ে পুরো ম্যাচ চালাতে বাধ্য হয় অতিথিরা।
বিরতির পরও কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি বার্সেলোনা। ৫৫তম মিনিটে আক্রমণ গড়ে তোলার দারুণ দক্ষতা দেখিয়ে এস্তেভোঁ চেলসির দ্বিতীয় গোলটি করেন। রিস জেমসের পাস থেকে বক্সে ঢুকে বার্সেলোনার দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তিনি বল জড়ান কাছের পোস্ট দিয়ে।
৭৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ে। এনজো ফার্নান্দেজের পাস ধরে লিয়াম ডেলাপ গোল করলে প্রথমে অফসাইড ধরা হলেও ভিএআরে নিশ্চিত হয় যে গোলটি বৈধ। ফলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এই গোলের পরই কার্যত ম্যাচের প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে যায়।
পরিসংখ্যানেও প্রতিফলিত হয়েছে চেলসির প্রভাব। বল দখলে ৫৫ শতাংশ এগিয়ে ছিল তারা। মোট ১৫টি শটের মধ্যে ছয়টি ছিল লক্ষ্যভেদী। বিপরীতে বার্সেলোনা পুরো ম্যাচে পাঁচবার শট নিলেও মাত্র দুটি ছিল টার্গেটে।
এই জয়ে গ্রুপের পাঁচ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বেশ ভালো অবস্থানে পৌঁছেছে চেলসি। অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের মতো হারের স্বাদ পেয়ে বার্সেলোনা থেমে গেছে ৭ পয়েন্টে এবং নেমে গেছে ১৫তম স্থানে।



























