পোপ হিসেবে চতুর্দশ লিও’র প্রথম বড়দিন পালন
পোপ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনায় (ক্রিসমাস মাস) অংশ নিয়েছেন পোপ লিও চতুর্দশ।
বুধবার ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এই ধর্মীয় আয়োজনে হাজারো ভক্ত সমবেত হন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় ৫ হাজার মানুষ বাইরে বড় পর্দায় অনুষ্ঠানটি দেখতে আসেন। গণপ্রার্থনার আগে উপস্থিত সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোপ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা অনেক বড় হলেও দুর্ভাগ্যবশত আপনাদের সবাইকে ভেতরে জায়গা দেওয়ার মতো বড় নয়।’
প্রার্থনার ভাষণে বড়দিনকে ‘বিশ্বাস, দানশীলতা ও আশার উৎসব’ হিসেবে উল্লেখ করেন পোপ লিও চতুর্দশ। বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান ‘বিপথগামী অর্থনীতির’ সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই ব্যবস্থায় মানুষকে পণ্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
এবারের ক্রিসমাস মাসে গির্জার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং প্রায় ৬ হাজার তীর্থযাত্রী অংশ নেন। ধর্মোপদেশে পোপ লিও সমসাময়িক রাজনৈতিক বা বৈশ্বিক ইস্যু এড়িয়ে সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
গত ২১ এপ্রিল পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লিও চতুর্দশ। তিনি পূর্বসূরির তুলনায় অপেক্ষাকৃত মিতভাষী ও সংযত শৈলী অনুসরণ করছেন বলে ভ্যাটিকান পর্যবেক্ষকদের মন্তব্য।
এর আগের দিন, মঙ্গলবার, বড়দিন উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান পোপ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। রোমের কাছে কাস্তেল গন্দলফোর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “অন্তত আমাদের ত্রাণকর্তার জন্মোৎসবে সবাই যেন শান্তির দিন পালন করে—সকল সদিচ্ছাসম্পন্ন মানুষের কাছে আমার এই অনুরোধ।”
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের বড়দিনের মধ্য দিয়ে ক্যাথলিক চার্চের ‘জুবিলি হোলি ইয়ার’ শেষ হচ্ছে। এ উপলক্ষে লাখো তীর্থযাত্রী বর্তমানে রোমে সমবেত হয়েছেন।



























