সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান সিপিজে এশিয়ার

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এশিয়া। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার–এর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায় সংস্থাটি।

বিবৃতিতে সিপিজে জানায়, শুক্রবার ভোরে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার–এর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক কার্যালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সিপিজে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সিপিজে আরও জানায়, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন ও নিরাপদ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। সংবাদমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে।

এদিকে রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ কাভার করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু পরামর্শও তুলে ধরেছে সিপিজে। সংস্থাটি জানায়, বিক্ষোভ ও বিভিন্ন জনসমাগম দ্রুতই বিপজ্জনক বা সহিংস রূপ নিতে পারে। এ ধরনের কর্মসূচি কাভার করার সময় সাংবাদিকদের পরিবেশ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির জন্য আগেভাগে প্রস্তুত থাকা জরুরি।

সিপিজে জানিয়েছে, বিক্ষোভ ও নাগরিক অস্থিরতা কাভার করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নজরদারি, গ্রেপ্তার কিংবা লক্ষ্যভিত্তিক হামলার শিকার হতে পারেন। এ কারণে কোনো প্রতিবেদন অভিযানে যাওয়ার আগে যোগাযোগব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং যাতায়াত পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিক্ষোভে জড়িত বিভিন্ন গোষ্ঠী সম্পর্কে আগাম ধারণা নেওয়া এবং টিয়ার গ্যাস, সহিংসতা বা গ্রেপ্তারের মতো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জনসমাগমে ডিজিটাল ডিভাইস বহনকারী সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কারণ এসব ডিভাইস ভেঙে যাওয়া, চুরি হওয়া বা জব্দ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

সিপিজে জানায়, বিক্ষোভ, নাগরিক অস্থিরতা ও অনিশ্চিত জনসমাবেশ কাভারের ঝুঁকি মোকাবিলায় সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য তারা বিভিন্ন তথ্য ও নির্দেশনা সংকলন করেছে। সংস্থাটির মতে, যেকোনো প্রতিবেদন অভিযানের আগে ঝুঁকি মূল্যায়ন সম্পন্ন করা উচিত, যাতে সম্ভাব্য হুমকি চিহ্নিত করে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা যায়।