ধানের শীষে ভোট করতে দল ছাড়লেন যারা
সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি জোট গঠনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। নতুন আইনে জোট করলেও নিবন্ধিত দলকে নিজেদের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে—এ অবস্থায় বিএনপির মিত্র ও নির্বাচনি জোট করতে আগ্রহী অনেক শীর্ষ নেতা ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে নিজ দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন।
শনিবার গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন রাশেদ খান। তিনি ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এর আগে শুক্রবার তিনি গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও বিএলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন। তাকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। তবে তার এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি দাবি করে দলের কয়েকজন নেতা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।
এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদও দলত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি কুমিল্লা-৭ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
১ ডিসেম্বর এলডিপি থেকে বেরিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন ড. রেজা কিবরিয়া। যোগদানের পরপরই হবিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান তিনি।
সমমনা ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা ২২ ডিসেম্বর দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বিএনপিতে যোগ দিয়ে ঢাকা-১৩ আসনে প্রার্থী হবেন। এছাড়া নড়াইল-২ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এনপিপি নিবন্ধিত না হওয়ায় তিনি বিএনপির প্রতীকেই লড়বেন। তবে তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেননি।
আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির মিত্র হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএম, চারদলীয় বাম জোট, লেবার পার্টিসহ প্রায় ৫৭টি দল ও জোট ছিল। এসব দল বিএনপির কাছে মোট ২২২টি আসনের দাবি করেছিল।
সূত্র: যুগান্তর



























