মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

একই আসনে নির্বাচন করছেন হান্নান মাসউদ ও তার বাবা

একই আসনে নির্বাচন করছেন হান্নান মাসউদ ও তার বাবা
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ও তার বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক একই আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৃথক দুটি দলের হয়ে তারা নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা ও ছেলে উভয়েই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এনসিপির প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে। অন্যদিকে তার বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) থেকে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।

একই আসনে বাবা–ছেলের প্রার্থী হওয়াকে ঘিরে এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল। কেউ এটিকে নবীন ও প্রবীণের প্রতীকী লড়াই হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের নতুন কৌশল হিসেবেও ব্যাখ্যা করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের প্রার্থী বিন্যাস ভোটের মাঠে শক্তির ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশের আন্দোলনে আমি সক্রিয়ভাবে লড়াই করেছি। তবে ভোটের অভিজ্ঞতা আমার জন্য একেবারেই নতুন। ভোটার হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। নোয়াখালী–৬ আসনের বাকি ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে আমার বাবা একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ মানুষ। তাই তার মনোনয়নপত্র দাখিল করাকে আমি উৎসাহিত করেছি। ভোটের মাঠে তার কাছ থেকেও নতুন কিছু শেখার সুযোগ হবে। আমি শাপলা কলি প্রতীকে লড়ব এবং বাবার এই নির্বাচনী লড়াইকেও আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।”

তবে এ বিষয়ে আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে মোট ৮৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ৬২ জন প্রার্থী। আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে।

জনপ্রিয়