ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্যারিসে উত্তাল বিক্ষোভ

বিশ্বজুড়ে অশান্তির আবহে এবার উত্তাল ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবাস্টিয়েন লেকর্নুর নাম ঘোষণা করার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দুই বছরেরও কম সময়ে ফ্রান্সের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হওয়া ৩৯ বছর বয়সী লেকর্নুর পদপ্রাপ্তি ঘিরে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েছে।
বুধবার “Block Everything” আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্যারিসে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। অন্তত ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভের কারণে রেলের পাওয়ার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফ্রান্সজুড়ে ৮০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র প্যারিসে ৬ হাজার কর্মী।
বিক্ষোভকারীদের একজন এএফপি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ম্যাক্রো কর্তৃক লেকর্নুর নিয়োগ “গালে থাপ্পড়”ের মতো, এবং ফ্রান্সে পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে ২০২২ সালে পুনর্নির্বাচনের পর থেকে পদত্যাগের দাবির মধ্যেও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো নিশ্চিত করেছেন যে তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা “ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্থ” এবং “দায়িত্বহীন।”
ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতার ইতিহাস দীর্ঘ। ২০২৪ সালে কৃষকরা খাদ্যের দাম, ডিজেল জ্বালানিতে ভর্তুকি হ্রাস এবং মুক্ত বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে যান। গত তিন বছরে একাধিক আন্দোলন অনুষ্ঠিত হলেও ম্যাক্রো প্রশাসন শক্ত অবস্থান নেয়।