ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল দুটোকেই সামলাবে ইসবগুল
প্লান্টাগো ওভাটা উদ্ভিদের বীজের খোসা থেকেই তৈরি হয় সাইলিয়াম বা ইসবগুল। প্রাকৃতিক আঁশসমৃদ্ধ এই উপাদান কোলেস্টেরল কমানো থেকে শুরু করে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ—সব ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য উপকারে আসে। প্রাকৃতিক জোলাপ হিসেবে পরিচিত ইসবগুল ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) ওষুধ হিসেবেও পাওয়া যায়।
হেলথলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিভিন্ন গবেষণায় সাইলিয়ামকে হৃদযন্ত্র, অগ্ন্যাশয়সহ শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য উপকারী হিসেবে দেখা গেছে। সাইলিয়াম মূলত একটি বাল্ক-ফর্মিং ল্যাক্সেটিভ—যা অন্ত্রে পানি শোষণ করে মল নরম করে এবং সহজে বের হতে সহায়তা করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে এবং হেমোরয়েড ও অ্যানাল ফিশারের মতো জটিলতা প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
২০১৭ সালের এক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাইলিয়ামের মতো দ্রবণীয় আঁশ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। প্রতিদিন ৬ থেকে ১৫ গ্রাম আঁশ গ্রহণ করলে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ এবং মোট কোলেস্টেরল সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
হেলথলাইন আরও উল্লেখ করে, ইসবগুল রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হতে পারে। তবে খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বলছে, ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ইসবগুল ব্যবহারের পক্ষে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই। তাই নিয়মিত ইসবগুল সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।



























