মঙ্গলবার ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ৫ আগস্ট ২০২৫

এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন : টিআইবি

এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন : টিআইবি
সংগৃহীত

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই মাসের মধ্যে দেশে মোট ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন।

 

সোমবার (৪ আগস্ট) ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে “কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক, লেখক ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর হামলা ও হয়রানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬৬ জনকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। তিনজন সাংবাদিক দায়িত্ব পালনকালে হামলায় নিহত হয়েছেন।

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি জানিয়ে এতে আরও বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ২৪ জনের বেশি সংবাদমাধ্যমকর্মীকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে, আটটি সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তা সম্পাদককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অন্তত ১৫০ জন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া, সংবাদমাধ্যম কার্যালয়গুলোতে মব তৈরি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।

 

টিআইবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে সরকারের বিতর্কিত কার্যক্রমে তিন দফায় ১৬৭ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তথ্য কমিশন কার্যকর করা এবং তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতার বিষয়টিও তুলে ধরেছে টিআইবি।

 

টিআইবি প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেছে, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রকাশিত ২০২৫ সালের প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশ ১৬টি স্থানে উন্নতি সত্ত্বেও, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের সামগ্রিক অবস্থা এখনও প্রশ্নবিদ্ধ।

 

বিগত সরকারের পতনের পর দেশের এক বছরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব মূল্যায়ন তুলে ধরেছে টিআইবি।

সম্পর্কিত বিষয়: