রোববার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২

সংবাদ পরিক্রমা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

একীভূত হওয়ার আলোচনায় এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ

একীভূত হওয়ার আলোচনায় এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ
ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতির মঞ্চে নতুন শক্তি গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে আত্মপ্রকাশ করেছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে মাত্র সাত মাসের মাথায় দলটি বুঝতে পেরেছে, একক লড়াইয়ে নয়—ঐক্যবদ্ধ তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরেই ভবিষ্যৎ রাজনীতির সম্ভাবনা। সেই লক্ষ্যেই এখন এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনার প্রক্রিয়া।

গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের লক্ষ্যে দুই দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। তার ভাষায়, “দেশের মানুষ এখন তরুণ নেতৃত্ব দেখতে চায়। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণরা তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যারা রাজপথে ছিলেন, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের মানুষ আস্থার সঙ্গে গ্রহণযোগ্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম পাবে।”

তিনি আরও জানান, এনসিপির অনেক নেতা অতীতে গণঅধিকার পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার মতে, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানের বীজ বপন হয়েছিল। “গণঅধিকার পরিষদই হলো রাজপথের আন্দোলন থেকে উঠে আসা একমাত্র সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছরেও আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি বা চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ ওঠেনি।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে জুলাইয়ের মূল অংশীজনদের ঐক্যের বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যেই আমরা এনসিপিসহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।”

এদিকে নতুন রাজনৈতিক দলের বিষয়ে এনসিপি নেতা সারজিস আলম গণমাধ্যমকে বলেন, অ্যাকোমোডেশনে কোন পদে কে থাকবেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক রাজনৈতিক দল থাকায় বিষয়টি আরও কঠিন হচ্ছে, কারণ সবাই আহ্বায়ক বা সদস্য সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে চান।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করবেন। আলোচনা অব্যাহত থাকবে।”