মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১০:১৭, ১৩ মে ২০২৫

মুক্তমতকে ক্ষুন্ন করবে না বলে দাবি সরকারের

মুক্তমতকে ক্ষুন্ন করবে না বলে দাবি সরকারের
সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। গত ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন থাকা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী ও সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

 

তবে এই প্রজ্ঞাপন কোনোভাবেই মুক্ত মত প্রকাশ কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম বা আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সমালোচনামূলক বা গঠনমূলক বিশ্লেষণের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে না বলেও সরকার জানিয়েছে।

 

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বিশেষত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত অনেক মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হামলা, উসকানি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত হয়েছে। এতে বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং বিচারকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়: