অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা এবং কাজে কোনো মিল নেই : যুবদল সভাপতি

যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা এবং কাজের সঙ্গে কোনো মিল নেই। তারা রাষ্ট্র এবং জনগণের কোনো তোয়াক্কা করছে না তাদের আচার-আচরণে। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন, এই প্রথম বাংলাদেশে একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) জেলা যুবদলের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৩ মে কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং নাগরিক সমস্যা নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সমাবেশ এবং ২৪ মে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ে বগুড়ায় অনুষ্ঠিতব্য তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই পর্যবেক্ষণ সভার আয়োজন করা হয়।  

মুন্না বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির ওপরে মানুষ আস্থা রেখেছে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান মানুষকে যে রাজপথের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তা বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে। উনি সেটা বলেছিলেন এবং এখন তাই হচ্ছে। আমরা এখনো ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারিনি। আমাদেরকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। ভোটের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের এ লড়াই অব্যাহত রাখবো।  

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানবিক করিডরের নামে রোহিঙ্গাদের চলাচলের জন্য যে করিডর দিচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটাতো তারা এভাবে দিতে পারেন না। বিভিন্ন বিষয়ে তারা দেশকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালনা করছে। নির্বাচনকে তারা ডিনাই করছে। নির্বাচন ছাড়াই তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে চায়। কতইনা মজা তারা পেয়েছে। ভোটাধিকার তো মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। ভোটাধিকার তো নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটবে। নির্বাচন দিতে কেন তাদের এত সমস্যা। মনে হচ্ছে নির্বাচনের জন্য আবারো আমাদেরকে রাজপথে নামতে হবে। সুতরাং আমরা তরুণদেরকে সম্পৃক্ত করে তারুণ্যের ওপর যে বাংলাদেশকে নির্মাণ করার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি আমরা তা বাস্তবায়ন করব। ইনশাআল্লাহ তারুণ্যের জাগরণের মাধ্যমে আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। 

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রুহুল আমিন মুক্তার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক একে এম রউশন উল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহমুদুস সালেহীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।