"সনাতনী বিদ্যার্থী সংসদ, জবি শাখার দায়িত্বে সুমনওদীপা"

সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কার্যনির্বাহী সংসদ ২০২৫-২০২৬ এর সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর ১৭ তম আর্বতনের শিক্ষার্থী শ্রী সুমন কুমার দাশ।তিনি ২০২১-২০২২ সেশন এর বাংলা বিভাগ এর ছাত্র। এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ২০২২-২০২৩ সেশন এর দর্শন বিভাগের ছাত্রী দীপা দেবনাথ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সনাতনী বিদ্যার্থী সংসদ, বাংলাদেশ এর সভাপতি শ্রী রাখাল দেবনাথ রনি ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী পরিমল চন্দ্র রায় রানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে নতুন কার্যনির্বাহি কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও কমিটিতে সহ সভাপতি হয়েছেন, প্রান্ত ঘোষ, সুমন সরকার,,। সহ সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জয়ন্ত রায়, সৌরভ সরকার,অনিরুদ্ধ রায়,।নতুন দায়িত্ব নিয়ে সুমন কুমার দাস বলেন,
আজ এই শুভক্ষণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এসভিএস-এর ২০২৫–২০২৬ কার্যকালীন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।
প্রথমেই আমি পরমব্রহ্ম ও আমাদের মহান সনাতন ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, যিনি আমাদের সকলকে সেবার মহান ব্রত পালনের শক্তি ও প্রেরণা জুগিয়েছেন।
আমি কৃতজ্ঞ এসভিএস বাংলাদেশ-এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল জ্যেষ্ঠ, উপদেষ্টা, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি, যাদের আস্থা ও আশীর্বাদ আমাকে এই গুরু দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছে।
আমাদের সনাতনী সংস্কৃতি সর্বদা শিখিয়েছে—‘নারায়ণ সেবাই পরম ধর্ম’। সেই চিরন্তন আদর্শ ও ধর্মীয় সংস্কারকে ধারণ করেই আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবসেবা এবং নৈতিক চরিত্র গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—এসভিএস কোনো একক ব্যক্তির সংগঠন নয়, এটি আমাদের সমস্ত সনাতনী ভাই-বোনদের মিলিত স্বপ্ন ও সাধনার ফল। এই কমিটির প্রতিটি সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নরত সকল সনাতনী শিক্ষার্থীবৃন্দু সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, সম্মানিত এবং দায়িত্বশীল।
আমাদের মধ্যে ধর্মীয় শৃঙ্খলা, আত্মিক বন্ধন ও সমাজ সংস্কারের ব্রত যেন সর্বদা অটুট থাকে—এটাই আমার একান্ত কামনা। আমাদের ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
সভাপতি হিসেবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আমি সর্বদা সকলের সাথে থেকে, সকলের মতামতকে শ্রদ্ধা করে, সনাতন ঐতিহ্য ও এসভিএস-এর মূল দর্শনকে সমুন্নত রেখে আমাদের সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করার জন্য কাজ করে যাবো।
পরিশেষে, আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান—আসুন, এক হৃদয়ে, এক চেতনায় আমরা আমাদের সেবার মহান ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাই। বিভাজন নয়, বিরোধ নয়—ঐক্যই আমাদের শক্তি, সেবাই আমাদের ব্রত।