শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

জবি প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১ আগস্ট ২০২৫

"জুলাই যোদ্ধা ও সাহসী সাংবাদিক এর সম্মাননা প্রদান"

সংগৃহীত

জগন্নাথ  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের  ‘রক্তাক্ত জুলাই’র বীরত্বগাথা ইতিহাস স্মরণে  শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ,অগ্নিসন্তান এবং সাহসী সাংবাদিকদের নিয়ে সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করেছে।

 

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ ভবনের নিচ তলায় এই আয়োজন করা হয়েছে। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ইকরামুল হক  সাজিদ, ঢাকার বুকে  প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  চারজন গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী, জুলাইয়ের অগ্নিসন্তান, সাহসী সাংবাদিক,   আমরা জকসু চাই গ্রুপের এডমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র জবিয়ান'স পেইজের এডমিনসহ জুলাই  আন্দোলনে আহত সকলের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণে গুলিবিদ্ধ অনিক কুমার দাস বলেন, " আজকে স্বৈরাচারী  হাসিনা কোথায়? কোথায়  সেই দাম্ভিকতা?  দাম্ভিকথা আজ নেই, আজকের ছাত্র-জনতা সেই দাম্ভিক্ষতা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। জুলাই আগস্ট আমাদের দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে গরিব ভাইয়েরা, কৃষক-দিনমজুর ভাইয়েরা রাজপথে নেমেছে। আজকে জুলাই চেতনা নিয়ে মারামারি হচ্ছে ভাগাভাগি হচ্ছে লুটপাট হচ্ছে, কেনো এটা! আমরা চাই নতুন বাংলাদেশের যারা জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছে সবাই জুলাইয়ের অংশীদার। "

 

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক আবু বকর মজুমদার বলেন, "১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যে শিক্ষার্থীদের উপর  হামলা করে এবং সে হামলা কর্তৃক একটা বড় অংশ যারা   শিকার হয়  তারা অধিকাংশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। ১৫ জুলাই প্রোগ্রামে সেই তুলনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীর  অংশগ্রহণ কম ছিল  আমরা  অপেক্ষা করেছিলাম কখন  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আসবে!  এবং একপর্যায়ে দেখেছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরা একটা বিশাল মিছিল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয় এবং সেই প্রোগ্রামে তখন  আমাদের আস্থা হয় যে আমরা এই অবস্থান ধরে রাখতে পারব।সর্বশেষ যখন  এখানে ঝামেলা হয় তখন আমরা  দেখেছি যথেষ্ট সংখ্যক  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরা আহত হয়।কারণ  অনেকে হল পাড়ার  রাস্তা চিনেন না, বের হতে পারেন  নাই এজন্য আহত হয়। "

 

এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন,"আমার মনে পড়ে জুলাইয়ের  উত্তাল  দিনগুলো আমরা খুব ভরসা  নিয়ে থাকতাম যে সচিবালয়, গুলিস্তান এবং জিরো পয়েন্টের রোড এই জায়গাগুলো ছাত্রদের দখলে আছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট থেকে শুরু করে ওই পর্যন্ত দেখভাল করছে আমরা খুব ভরসা করছি আপনাদের উপর। আমার মনে আছে বিরাট বিরাট মিছিল  নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যেতো সামনে নারীরা থাকতো এবং পিছনে আপনার ঢালের মতো  থাকতেন। এই সরকার দাঁড়িয়ে আছে ছাত্রদের ত্যাগের উপর, রক্তের উপর  ছাত্র জনতার মিলিত  অভ্যুত্থানের সুফল হিসেবে কিন্তু তারা ছাত্রদের কাছে আসে না শিক্ষার্থীদের দাবিও শুনে না ধারণ করতেও পারে না। যেই চেতনা যেই দেশপ্রেম ভালোবাসা ধারণ করে রাজপথে নেমেছিল সেই ভালোবাসার ছিটেফোঁটাও অনুভব করতে পারে না আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে। "

সম্পর্কিত বিষয়: